প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানোর মাধ্যমে জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। একটি চমৎকার ‘জুলাই সনদ’ করা সম্ভব হবে-এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।’
সোমবার বিকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনার সূচনায় কমিশনের প্রধান ও অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে সব রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি তাদের আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করে। তার নেতৃত্বেই একটি সুন্দর, সফল ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এই আশাবাদ ব্যক্ত করে দলগুলো। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা চেয়েছে। অধিকাংশ রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে দ্রুত সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। কয়েকটি দল ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে সুবিধা অনুযায়ী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কথা তুলে ধরে। একই সঙ্গে সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সব দল সনদে স্বাক্ষরে রাজি থাকার কথাও বৈঠকে জানানো হয়।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের ওপর সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির জন্য সংস্কার কমিশন গঠন ও পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন এবং ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর প্রথম পর্বের আলোচনার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, তার মনে হয়েছিল হয়তো দলগুলো এ কাজে আগ্রহ পাবে না, ভেতরে ঢুকতে চাইবে না। কিন্তু দলগুলো যেভাবে গভীরে গিয়েছে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছে, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিতর্ক করেছে, তাতে তিনি আনন্দিত। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অনেক বিষয় আছে কাছাকাছি এসে গেছি, আরেকটু হলে আমাদের তালিকায় আরেকটা সুপারিশ যুক্ত হয় ওই ঐকমত্যের সুপারিশে। এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি।
প্রথম পর্বের আলোচনায় যেসব বিষয়ে দূরত্ব রয়েছে, দ্বিতীয় পর্বে সেগুলো ঘুচে যাবে-এমন আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘যেটুকু দূরত্ব ছিল, সে দূরত্ব ঘুচিয়ে এনে যাতে জুলাই সনদে আরও কিছু যোগ করতে পারি। দেখতে সুন্দর লাগবে, জাতীয় একটা সনদ হলো। আমরা তো বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে রাজনীতি সৃষ্টি করিনি। আমরা সৃষ্টি করেছি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য, দেশের উন্নতির জন্য। দেশের মঙ্গলের জন্য।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি সারা দিনে যত মিটিং করি, এ পর্যন্ত যত মিটিং করে এসেছি, সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই যখন আপনাদের সঙ্গে বসার সুযোগ পাই, আলাপ করার সুযোগ পাই। কারণ, এখানে সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা হচ্ছে। এটা আমাকে শিহরন জাগায়, এরকম একটা কাজে জড়িত হতে পেরেছি, নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঐকমত্য কমিশনের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ উপস্থিত ছিলেন। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে কমিশন। এ আলোচনা শুরু হবে বেলা ১১টায়, চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করেছে। আলোচনায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নমনীয়তা লক্ষ করা গেছে। রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে যে নমনীয়তা রাজনৈতিক দলগুলো দেখিয়েছে, তা আমার কাছে মনে হয়েছে অভূতপূর্ব। আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক সংশোধিত সুপারিশও তৈরি হয়েছে। এর একটা উদাহরণ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ। আশা করি, আগামী দিনে এমন বিষয়ে আমরা সবাই এক জায়গায় আসতে পারব।
আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের হাতে সময় খুব কম। কমিশনের মেয়াদ ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু আমরা জুলাইয়ের মধ্যেই জুলাই সনদ তৈরি করতে সচেষ্ট। মঙ্গলবার থেকে আলোচনা শুরু হচ্ছে। ঈদের ছুটির পর প্রায় প্রতিদিনই এ আলোচনা অব্যাহত রাখতে চাই।
বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, জুলাই সনদ ঘোষণার বিষয়ে অগ্রগতি হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে শিগ্গিরই জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। তবে এই সময়সীমার পরে যাবে না।
অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে-বিএনপি : বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের ভেতরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন, বিশেষ করে নির্বাচনমুখী, সেই সংস্কারগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা ঐকমত্যের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করি। এমন কোন সংস্কার নেই যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে না।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রিপোর্ট পেয়েছি, আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো অর্ডিন্যান্স, বিভিন্ন সেক্টরে অনেকগুলো সংশোধনী এসেছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। আরও অনেকগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় আছে। সেগুলো অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে করা সম্ভব, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে করা সম্ভব। এমনকি কিছু কিছু সংস্কার তো অফিস আদেশের মাধ্যমেও করা সম্ভব। সেগুলোর জন্য বিশেষ করে সংবিধান সংশোধন ব্যতীত অন্য সব সংশোধনী যেগুলো একমাত্র সংস্কার প্রস্তাব, সেগুলো অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বা অফিস আদেশের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার মতো একটি কারণও উল্লেখ করার মতো নেই। এ বিষয়টা আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। সালাহউদ্দিন আরও বলেন, বৈঠকেও প্রায় সব রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন প্রধান উপদেষ্টা সেটা বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশা করি। তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসাবে নিরপেক্ষভাবে সেই ভূমিকা পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ, অনুরাগ, বিরাগ প্রদর্শন করবেন না। জাতি তার কাছে চূড়ান্ত নিরপেক্ষতা আশা করে।
ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভোটের তারিখ দিলেই জনমনে শঙ্কা কেটে যাবে-জামায়াত : জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, সব দল, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের আস্থার কথা পুর্নব্যক্ত করেছি। ওনার নেতৃত্বেই একটি সফল সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা চেয়েছি। নির্বাচনের তারিখের ব্যাপারে আমরা বলেছি, জুন এবং মে মাস আবহাওয়াগতভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী নয়। তাহলে মে ও জুন বাদ দিলে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল। এর মাঝে একটি রোজা আছে। আমরা বলেছি, এর ভেতরেই আপনি একটা তারিখ ঘোষণা করবেন। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে একটি সুবিধামতো সময়ে আপনি তারিখ দিলেই জনমনে যে শঙ্কা ও অস্বস্তি আছে, তা কেটে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রস্তুতির জন্য প্রচারণায় মনোযোগী হবে। প্রবাসীদের ভোটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) অনেক আগে থেকে তৈরি করতে হবে বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, সংস্কারের বিষয়ে বলেছি, জুলাইয়ের ভেতরে সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। তারপর একটা জুলাই সনদ হবে, যেখানে স্বাক্ষর করার জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দল নীতিগতভাবে একমত হয়েছি।
জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না-এনসিপি : জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বলেছি জুলাই মাস আসছে। সামনে গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি হবে। ৫ আগস্টের আগে জুলাইয়ের মধ্যেই যাতে জুলাই সনদটি কার্যকর করা হয়। সবার স্বাক্ষর নিয়ে যাতে জুলাই সনদ করতে পারি। জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই সনদ ঘোষণার আগেই যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়, তাহলে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
নির্বাচন কমিশন এখন যে প্রক্রিয়ায় চলছে, তার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নির্বাচনিব্যবস্থা সংস্কার। নির্বাচনসংক্রান্ত ও নির্বাচন কমিশনসংক্রান্ত যে আইনগুলো রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি।
অন্যান্য দল : গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিক কারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এখন ডিসেম্বর থেকে যদি অন্য কারণে পেছায়, তাহলে সেটা সরকারকেই ব্যাখ্যা করতে হবে যে এই বাড়তি সময় তাদের কেন? আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট করা। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে অধিকাংশ দল তাদের মতপ্রকাশ করেছেন। সরকারে উচিত হবে এটাকে বিবেচনার মধ্যে নেওয়া। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, সংস্কারের বিষয়ে ইতোমধ্যে একটা ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এখন বাস্তবায়ন করার পালা। কিছু কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংবিধানের পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। সেটার জন্য নিশ্চয়ই একটা পার্লামেন্ট লাগবে।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীসহ ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা।
গত বছরের অক্টোবরে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্র্বর্তী সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে কমিশনগুলো পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেয়। সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আর এইচ/