কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গ্রামের খামারে ও গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি ঘুরে কোরবানির পশু কেনাকাটার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। সময় ও ভিড় এড়িয়ে নিরাপদে পশু কেনার সুযোগ থাকায় অনেকেই ঝুঁকছেন গৃহস্থের গোয়ালঘরে দিকে।
টানা বৃষ্টির কারণে এখনও ভালো ভাবে জমে উঠেনি হাট বাজার গুলো। তাই হাটে না গিয়ে বাড়ি থেকেই গৃহপালিত পশু কিনছেন অনেক ক্রেতা। তবে বিচ্ছিন্নভাবে প্রান্তিক খামার থেকেও কোরবানির পশু কিনছেন অনেকে।
সোমবার সরেজমিন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায় , টানা ৪ দিনের বৃষ্টির কারণে হাটে গরু নিতে পারছেনা খামারীরা। সুস্থ ইষ্ট- পুষ্ট কোরবানির পশু আগে ভাগেই কিনে নিতে গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা। গো খাদ্যের দাম ও লালন পালনের আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে দাম চাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।
আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের বিলপুর গ্রামের আশরাফ উদ্দিন আরিফ জানান, আমাদের এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ১০ টি ষাঁড় গরু প্রস্তুত করেছি। তার মধ্যে খামার থেকে ২ টা গরু বিক্রি করেছি । দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা গরু দেখতে আসছে । বাকি গরুও খামার থেকে বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি ।
বৈরাগ গ্রামের ক্রেতা মোঃ সুমন শাহ বলেন, বাড়ি থেকে গরু কিনলে পশুর হাটে দালালদের (মধ্যস্বত্বভোগী) এবং অতিরিক্ত হাসিলের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমার বাড়িতে রাখার জায়গা নেই। আমিও নিজ গ্রামের বাড়ি থেকেই গরু কিনেছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবার আনোয়ারা উপজেলায় ৫৬ হাজার ১৮৫ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ৫৩ হাজার ৪২৮ পশু। যেখানে ২৪ হাজার ২১৫ টি ষাঁড়, ৭ হাজার ২০৫ বলদ , ৩ হাজার ৮৪৪ টি গাভী, ১ হাজার ৬১২ মহিষ , ছাগল ১৬ হাজার ২৮৫ ও ৩ হাজার ২শ টি ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, আনোয়ারা উপজেলায় পশুর সংকট নেই। চাহিদার চাইতেও আরো বেশি পশু রয়েছে। কয়েকমাস আগে থেকে আমরা খামারিদের দিকে নজর রেখেছি, যাতে অনুনমোদিত ওষুধ খাইয়ে কেউ গরু মোটাতাজা করতে না পারে। হাটের পাশাপাশি সুস্থ ও মোটাতাজা গরু কিনতে ক্রেতারা গ্রামে খামার ও গৃহস্থের বাড়িতে যাচ্ছেন। এছাড়াও ৪টি স্থায়ী ও ৭টি অস্থায়ী হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
আর এইচ/