বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করা বাংলাদেশিরা অবশেষে দেশে ফিরলেন।
বিক্ষোভের সময় ৫৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় সেই দেশের সরকার। পরে বাংলাদেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার সেই দেশের সরকার তাদের ক্ষমা করে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়। ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভের ঘটনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে জেলে যাওয়া ৫৭ বাংলাদেশির ১৪ জন ফিরেছেন।
ক্ষমা ঘোষণার পর প্রথম ধাপে শনিবার রাতে তারা দেশে ফেরেন।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে ১২ জন এবং ঢাকায় ২ জন অবতরণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ তৎপরতায়, দেশটির কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। স্বজনদের প্রত্যাশা ব্যবসা বা চাকরি হারানো এসব মানুষের পুনর্বাসনে পাশে থাকবে সরকার।
চট্টগ্রামে রাত ৮টার দিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ১২ জন। আর ঢাকায় দুজন ফেরেন সাড়ে ৯টার দিকে।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ক্ষমা পাওয়া ১৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসীর প্রথম দলটি শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং রাত ১০টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভের সময় গ্রেপ্তার ৫৭ বাংলাদেশীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় সেই দেশে সরকার। কি হয়েছিল সেই সময়, সেই গল্পই দেশে ফিরে বলছিলেন প্রবাসীরা।
সরকার পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন অন্তবর্তীকালীন সরকার। পরে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান করেন তারা। এরপরেই ১৪ প্রবাসী দেশে ফিরলেন। পর্যায়ক্রমে বাকিরাও ফিরবেন দেশে।
এদিকে আরব আমিরাত থেকে ফেরা এসব প্রবাসীদের অর্ভ্যথনা জানাতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এসময় তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের প্রথম শ্রেণির নাগরিকদের সম্মান দেওয়াসহ দুবাইয়ে গ্রেপ্তারকৃত বাকীদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।’