আজ শুক্রবার, ৫ মার্চ ২০২১ ইং
শিরোনাম
স্টাফ রিপোর্টার । | ১১:৪৬ এএম, ২০২১-০২-১৯
শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নগরীর বাজারগুলো থেকে ক্রেতারা বেশিরভাগ সবজি তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারলেও, নতুন আসা পটল ও ঢেঁড়স বাজারে যেন ‘ভিআইপি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকার মধ্যে, সেখানে পটল ও ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। ফলে কেউ কেউ মন্তব্য করে বসছেন, পটল ও ঢেঁড়স এখন ভিআইপিদের খাবার!
আজ শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স। তবে দাম বেশি হওয়ায় সব বাজারে এই দুটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে না।
কাজির দেউরি বাজারে দেখা যায়, চারজন ব্যবসায়ী পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি করছেন। তাদের প্রত্যেকের কাছে এই দুই সবজি পরিমাণে তুলনামূলক কম। তিনজনই পটল ও ঢেঁড়সের কেজি একশ টাকা চান।
তাদের একজন রহমত আলী বলেন, পটল ও ঢেঁড়স বাজারে নতুন আসা শুরু হয়েছে। এ কারণে এখন দাম বেশি। কয়েক দিন গেলে দাম কমে আসবে। আপাতত কিছু ক্রেতা শখের বশে এই দাম দিয়ে পটল ও ঢেঁড়স কিনে খাবেন। সবাই এই দাম দিয়ে কিনবে না। এ কারণে কম করে এনেছি। তাছাড়া পাইকারি বাজারেও কম পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে মো. শরিফ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই বাজারের বেশিরভাগ ক্রেতা নিম্ন আয়ের মানুষ। একশ টাকা কেজি দামে এখানে পটল-ঢেঁড়স বিক্রি হবে না। এখন পটল-ঢেঁড়স ভিআইপিদের খাবার। দাম কমলে তখন সাধারণ মানুষ খাবে।
এদিকে শীতের সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় সবজির দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। আগের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুনের কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপের কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজরের কেজি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি গুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউয়ের দামও সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহের মতো ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পিস।
সবজির মতো সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, আলু, ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম। খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। এক ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ৯৫ টাকায়। বয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা।
এদিকে সরকার দাম বেঁধে দিলেও সেই দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন ও পাম তেল। সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিনের (খোলা) খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা। বোতলের প্রতি লিটার সয়াবিনের খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা। বোতলের ৫ লিটারের মূল্য ৬২৫ টাকা। আর পাম সুপারের প্রতি লিটারের মূল্য ১০৪ টাকা।
তবে গত কয়েকদিনের মতো খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেল ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাম সুপার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। বোতলের ৫ লিটার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকার ওপরে। কোম্পানি ভেদে ১৩৫-১৪০ টাকায় বোতলের এক লিটার সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে
চট্টগ্রাম নিউজ ডটকম । : বাজারে স্বর্ণের দাম কখনও বাড়ে কখনও কমে। সেজন্য স্বর্ণের দাম নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত চিন্তায় থাকেন।...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার । : সবজির দর স্বস্তির পর্যায়ে থাকলেও ক্রেতাদের ভোগাচ্ছে মুরগি। সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর বাজার...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম নিউজ ডটকম । : অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার । : হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর নগরীর বাজার গুলোতে পেঁয়াজের দাম আবার কমেছে। খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি...বিস্তারিত
বিশেষ প্রতিনিধি। : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিতে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে রফতানি আয়ের প্রধান ক্ষেত্র তৈরি পোশাক...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক। : চাল, ডাল, চিনি ও ভোজ্য তেলের বাজারে অস্বস্তি কাটেনি। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 Chattogram News | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited